এস-ম্যানেজার ইতোমধ্যেই হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস অর্জনে সফল হয়েছে পুরো দেশ জুড়ে। শুরু থেকেই এস-ম্যানেজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ের বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করে আসছে। এস ম্যানেজার দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে একটি ডিজিটাল বাস্তুসংস্থান তৈরি করতে, যেখানে খুদ্র-মাঝারি ব্যবসাগুলো  ব্যবসা শুরু করা  থেকে শুরু করতে পণ্য বিক্রয়, ব্যবসা পরিচালনা ও ব্যবসায়ের বিকাশ করতে সক্ষম হবে।

বর্তমানে পুরো দেশ জুড়ে মোট ৪ লক্ষেরও বেশি ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ী এস-ম্যানেজার ব্যবহার করছে আর এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।  এস-ম্যানেজারের এই বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হল এটি একজন ব্যবসায়ীকে তার পণ্যগুলি কিস্তিতে বিক্রয় করতে সহায়তা করে। আর এই কিস্তি সুবিধা ৫০০০ টাকা দামের পণ্য থেকে শুরু করে যে কোন মূল্যের পণ্যে পাওয়া যাচ্ছে। 

কোভিড -১৯ এর কারণে অনেক ছোট-বড় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অগণিত মানুষ চাকরি হারিয়েছে এবং অনেক ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এজন্য সহজ কিস্তিতে পণ্য কেনা এখন অনেকের জন্যই খুবই উপকারী একটি সমাধান। আর একারণেই, এস-ম্যানেজারের ব্যবসায়ীরা সহজ কিস্তিতে জিনিস কেনার জন্য এই সুবিধা প্রদান করে প্রচুর গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছেন।

মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত মা মোবাইল এন্টারপ্রাইজের মালিক মিঃ সোহেল রানা মূলত মোবাইল ফোন, হেডফোন, স্মার্টওয়াচ এবং ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট বিক্রি করেন। তার পণ্যগুলির দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে। মিঃ সোহেল রানা তার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন, “অনেক গ্রাহক আমার দোকানে আসেন যারা কিস্তিতে পণ্যের মূল্য দিতে আগ্রহী। একটা সময় ছিল যখন আমাকে সেসব কাস্টমারকে ফিরিয়ে দিতে হত, তবে এখন আর আমার সেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। আগে আমি অনেক দামী পণ্যের জন্য কিস্তি দিতাম, তবে এখন আমরা ১০০০০ টাকার থেকে কম দামী পণ্যগুলিতেও এই সুবিধা দিতে সক্ষম হচ্ছি।  তিনি আরও যোগ করেন, “এস-ম্যানেজারের থেকে কিস্তিতে একটি পণ্য বিক্রয় করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর জন্য আমার কোনও পস মেশিনের দরকার নেই। আমার টাকা আটকে যাবে কিনা তা নিয়ে শুরুতে আমি কিছুটা চিন্তিত ছিলাম, তবে এখন দেখি সেটাও খুব সহজ আর ঝামেলাহীন। ২ কার্যদিবসের মধ্যেই আমরা এখন আমাদের টাকা পেয়ে যাচ্ছি।”

মুদি দোকান, ফার্নিচার স্টোর, ইলেকট্রনিক প্রডাক্ট শপ, অটোমোবাইল শপসহ আরও অনেক ব্রিক এন্ড মর্টার শপ ২০২০ সালের জুন থেকে sManager অ্যাপ্লিকেশন থেকে কিস্তিতে পণ্য বিক্রয় এবং ডিজিটাল পেমেন্ট কালেকশন ব্যবহার শুরু করেছেন এবং এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে ক্রমাগত। কেবলমাত্র ২০২০ সালের অক্টোবরে, ডিজিটাল পেমেন্ট কালেকশনে এস-ম্যানেজারের ২০৪% বৃদ্ধি ঘটে।

এস-ম্যানেজার এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে মার্চেন্ট অনবোর্ডিং, ডিজিটাল লেনদেন এবং কিস্তিতে পণ্য বিক্রয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়। অসংখ্য ব্যবসায়ী প্রতিদিন এস-ম্যানেজার ইনস্টল করছেন এবং তাদের ব্যবসা চালানোর জন্য সাবস্ক্রাইব করছেন। শুরুতে এর উদ্দেশ্য মূলত অর্ডার, স্টক ও ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট হলেও এখন ব্যবসায়ের পেমেন্ট থেকে শুরু করে লজিস্টিক সহায়তা, সবই এস-ম্যানেজার থেকে পাওয়া যাচ্ছে। 

আবার নতুন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসগুলির মধ্যে, “টপ আপ” ব্যবহারকারীরা বেশ দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। “টপ আপ” ফিচারটি মূলত “অতিরিক্ত আয়ের” উৎস হিসাবে কাজ করতে পারে। এই ফিচারটি আসার এক মাসের মধ্যেই নিয়মিত এস-ম্যানেজার ব্যবহারকারীদের মধ্যে ২০% “টপ আপ” ব্যবহার শুরু করেছেন।

এই সমস্ত উদাহরণ ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসাগুলোকে ডিজিটাল ব্যবসায় রূপান্তরিত করার দিকে ছোট ছোট পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে যা সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেড ও এস-ম্যানেজারের আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। সেই দিন খুব বেশি দূরে নয় যখন এস-ম্যানেজার তাদের ডিজিটাল বাস্তুতন্ত্রের মাধ্যমে শুধু দেশ না, দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ছোট-বড় ব্যবসাগুলোকেও উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে অবদান রাখবে।

Leave a comment