sManager ট্রেড লাইসেন্স সার্ভিস : ট্রেড লাইসেন্স কী, কেন, কীভাবে?

বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর যেকোনো দেশেই কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চালু করার জন্য প্রয়োজন সেই দেশের সরকার কর্তৃক একটি অনুমতিপত্র। এই অনুমতিপত্র পেতে হলে কিছু নিয়ম-কানুনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যবসায়কে আইনগতভাবে বৈধতা প্রদান করে। ব্যবসা সম্পর্কিত আইনি কোনো ঝামেলায় পরলে ব্যবসায়ী এই কাগজপত্র দ্বারা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

১) ব্যবসায় শুরুর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যেকোনো ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রেও সরকার অনুমোদিত অনুমতিপত্র লাগে। এই অনুমতিপত্রকে ট্রেড লাইসেন্স নামে অভিহিত করা হয়। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজে নামলে এই লাইসেন্স সংগ্রহ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায়, সরকার যেকোনো মুহূর্তে ব্যবসাকে বাজেয়াপ্ত করার এখতিয়ার রাখে।

২) ট্রেড লাইসেন্স কি?

যেকোনো বৈধ ব্যবসায় শুরু করার পূর্বে সবার পূর্বে দরকার হয় সেই ব্যবসায় করার জন্য আইনগত অনুমতিপত্র। এই অনুমতিপত্রকে অফিসিয়াল ভাষায় ট্রেড লাইসেন্স বলা হয়। তাহলে বলা যায়, ব্যবসা শুরু করার পূর্বে মূলধন, অবস্থান , টার্গেট কাস্টমার, প্রাইজিং, প্যাকেজিং, পরিবহন, অর্থসংস্থান ইত্যাদি বিষয় ভাবার পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করার অনুমতিপত্র বা ট্রেড লাইসেন্সের ব্যাপারেও ভাবতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই লাইসেন্স সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক। আমাদের দেশে নতুন কোনো ব্যবসায়ীকে সাধারণত সিটি কর্পোরেশন ও সিটি কর্পোরেশনের বাহিরের এলাকার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা জেলা পরিষদ থেকে এই লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়।

৩) ব্যবসাভিত্তিক ট্রেড লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম কানুন: 

ব্যবসা যেকোনো ধরনেরই হোক না কেন ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করা আবশ্যক। ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত বৈধ পণ্যের ব্যবসাও অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। আমাদের দেশে এরকম অনেক উদ্যোক্তা আছেন যারা ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন যেটি বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশন কর বিধান-১৯৮৩ মোতাবেক অবৈধ। যদিও সব ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স লাগে তবুও কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়ের নাম নিচে বর্ণিত হলো যেসব ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন এবং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে এডিশনাল আরও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:

           সাধারণ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে-

            ক) নির্দিষ্ট আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে

খ) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজের হলে হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা যেকোনো ইউটিলিটি বিলের কপি, আর ভাড়ায় চালিত হলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ভাড়ার চুক্তিপত্রের এটেস্টেড কপি।

            গ) আবেদনকারীর ৪ কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

ঘ) যৌথ মূলধনই ব্যবসা হলে ২০০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অংশীদারদের অঙ্গীকারনামা জমা দেয়া লাগবে।         

            ঙ) জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।

           ফ্যাক্টরি চালু করার ক্ষেত্রে-

সাধারণ ব্যবসায়ে যে কাগজ পত্র লাগে সেসব কাগজপত্র ছাড়াও ফ্যাক্টরির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের মালিককে আরও কিছু কাগজপত্র সিটি কর্পোরেশন অথবা ইউনিয়ন পরিষদকে সাবমিট করতে হবে। যেমন:

            ক) পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের কপি।

            খ) ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র

            গ) পার্শ্ববর্তী জায়গার মালিকের অনাপত্তিনামা

            ঘ) প্রস্তাবিত ফ্যাক্টরি এবং তার চারপাশের অন্যান্য স্থাপনার ম্যাপ।

           লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে-

১ নম্বরে বর্ণিত কাগজপত্র ছাড়াও কোম্পানির মেমোরান্ডাম অফ আর্টিকেল অথবা সার্টিফিকেট অফ ইনকর্পোরেশন জমা দিতে হয়।

           ফার্মেসি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে-

            এক্ষেত্রেও অন্যান্য সকল কাগজপত্র দিতে হবে সেই সাথে ড্রাগ লাইসেন্সের কপি দিতে হবে।

           ডায়াগনস্টিক সেন্টার/প্রাইভেট হাসপাতালের ক্ষেত্রে-

            স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুমতিপত্র লাগবে।

 

এরকম ভাবে ব্যবসায়ভেদে ব্যবসায়ীকে ১ নম্বরে বর্ণিত কাগজপত্র ছাড়াও আরও অন্যান্য কাগজ যেমন: অনুমতিপত্র, লাইসেন্স, লোকেশন ম্যাপ, চুক্তিপত্র ইত্যাদি জমা দেয়া লাগে। অন্যথায় ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন মঞ্জুর হয়না।

৪) ট্রেড লাইসেন্স ফি এবং প্রাপ্তির সময়: 

ব্যবসায়ের ধরণ ভেদে ট্রেড লাইসেন্স তৈরির ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ২০০ হতে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ট্রেড লাইসেন্স ফি হতে পারে। সাধারণত তিন থেকে সাত কর্ম-দিবসের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স হয়ে যায়।

৫) একটি ট্রেড লাইসেন্স এবং একাধিক ব্যবসা:

একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে শুধু মাত্র একটি  ব্যবসায় করা যাবে অর্থাৎ, যে ব্যবসায়ের জন্য লাইসেন্স করা হয়েছে শুধুমাত্র সে ব্যবসাই করা যাবে। নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আবারো নতুন করে ৩ নাম্বারে বর্ণিত নিয়মানুসারে লাইসেন্স করতে হবে।

৬) একাধিক ব্যবহারকারী:

লাইসেন্স যার নামে ইস্যু করা হবে শুধুমাত্র তিনিই এই লাইসেন্সের বৈধ ব্যবহারকারী বলে গণ্য হবেন। অন্য কারো জন্য এটি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অবৈধ।

৭) লাইসেন্সের মেয়াদ এবং নবায়ন:

ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ সাধারণত এক বছর। মেয়াদ পূর্তির তিন মাসের মধ্যে লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করতে হবে। আঞ্চলিক কর কর্মকর্তা ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের কাজ করে থাকেন। কর কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্ধারিত ব্যাংকে লাইসেন্স নবায়ন ফি প্রদানপূর্বক লাইসেন্সকে নবায়ন করে নেয়া যায়।

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে ট্রেড লাইসেন্সের গুরুত্ব কতটুকু সেটাই খুব সহজে অনুমেয়। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স না থাকার কারণে একজন ব্যবসায়ীকে আইনি ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। এছাড়াও অর্থদণ্ড সহ ব্যবসা বাজেয়াপ্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থেকে যায়। তাই, কোনও ব্যবসা শুরু করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে সঠিক নিয়মে নিজ ব্যবসায়ের নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স খুব দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলা যাতে আইনগতভাবে সঠিক থেকে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে নেয়া যায়। 

সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেড-এর sManager ক্ষুদ্র/মাঝারি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য নিয়ে এসেছে ট্রেড লাইসেন্স সার্ভিস। sManager প্ল্যাটফর্ম-এর মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি বা নবায়ন করার ট্রেড লাইসেন্স সার্ভিস-এর সুবিধাসমূহ:

 

✅ বাড়তি খরচের ঝামেলা নেই।

✅ ফ্রি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ।

✅ দক্ষ সার্ভিস প্রোভাইডার।

✅ কাগজ-পত্র তৈরির ঝামেলা নিতে হয় না।

✅ ব্যাংক অথবা অনলাইনে পেমেন্ট করার সুবিধা।

✅ ঘরে বসেই স্বল্প সময়ের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার নিশ্চয়তা।

 

ট্রেড লাইসেন্স সার্ভিস নিতে অর্ডার করুন আজই।

 

আমাদের ফেসবুক পেজ-এ ইনবক্স করুন অথবা কল করুন ১৬৫১৬ নাম্বারে।

Leave a comment