আধুনিক যুগে ব্যবসায় পরিচালনা করতে গেলে হতে হবে স্মার্ট। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে শুধু পণ্যের মান ভালো বা সহনীয় মূল্য কাস্টমারকে পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী করে তোলার জন্য যথেষ্ট নয়। জানতে হবে মার্কেটিং বা বিপণনের কলা কৌশল। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে মার্কেটিং-এর গুরুত্ব অত্যধিক হওয়া স্বত্বেও এই সেক্টরে মার্কেটিং সব চেয়ে কম করা হয়, কারণ এই সেক্টরের অধিকাংশ ব্যবসায়ী মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন না বা বুঝলেও সঠিক তথ্যের অভাবে অতিরিক্ত খরচ হিসেবে দেখে থাকেন। আসুন, জেনে নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য ৫ টি কার্যকরী মার্কেটিং টিপস।

১। ডিজিটাল প্রচার ও প্রসার: 5 tips

আপনি যেই প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করছেন তা সবাইকে জানাতে হবে। বিশেষ করে যদি কোনো নতুন প্রোডাক্ট হয় তাহলে কাস্টমারকে অবশ্যই নিজে থেকে জানাতে হবে।

sManager এর মার্কেটিং ও প্রোমো ফিচার ব্যবহার করে আপনি আপনার কাস্টমারকে SMS মার্কেটিং বা Facebook বুস্টিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার দোকানের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানাতে পারবেন।

২। প্রো অ্যাকটিভ:

আমরা অনেক সময় মনে করি মার্কেটিং করার কী দরকার, দোকান খুললে বা ফেসবুক-এ পেজ খুললেই তো অনেক সেল হয়ে যাবার কথা। কিন্তু বাস্তবে সেল বাড়ানোর জন্য আপনাকে নিজে থেকে একটিভ থাকতে হবে। কাস্টমারকে নিজে থেকেই বলতে হবে, বোঝাতে হবে, কাস্টমারের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে তা দ্রুত সময়ের মধ্যেই উত্তর দিতে হবে। 

৩। সকল মাধ্যমের ব্যবহার:

টেকনোলজির যুগে শুধু দোকান খুলে বসে থাকলে বা পোস্টার-লিফলেট বিতরণ করে মার্কেটিং করলে হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটার-সহ যতগুলো মাধ্যম সম্ভব, তা ব্যবহার করে আপনার কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে হবে। সব মাধ্যমে আপনার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

৪। কাস্টমাইজড অপশন:

ডিজিটাল যুগে শুধু নগদে লেনদেন সম্ভব না। আপনার ব্যবসা তখনই বাড়বে যখন কাস্টমারকে আপনি সুবিধা দিবেন। আপনার প্রোডাক্ট যাতে কাস্টমার সহজেই কিনতে পারে এবং দাম পরিশোধ করতে পারে সে ব্যবস্থা আপনার করতে হবে। sManager এর ডিজিটাল কালেকশন ফিচার এর মাধ্যমে আপনি বিকাশ, রকেট, নগদ, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন কোনো এক্সট্রা ডিভাইস ছাড়াই শুধু পেমেন্ট লিংক শেয়ার করে মোবাইলের মাধ্যমে।

৫। তথ্যের ভিত্তিতে বাজেট:

আপনার সাপ্তাহিক বা মাসিক মোট বেচা-বিক্রি, কোন পণ্যের সেল ভালো কিংবা কোন কোন কাস্টমার আপনার দোকান থেকে বেশি কেনা-কাটা করে তা জানতে হবে এবং মাসের যে সময়ে যে পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেই পণ্য বা পণ্য গুলির মার্কেটিং বেশি করতে হবে। sManager এর রিপোর্ট ফিচার এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এই তথ্য গুলো পেয়ে যাবেন যা আপনার মার্কেটিং বাজেট তৈরিতে সাহায্য করবে।

পরিশেষে, শুধু এটুকুই বলবো, এরকম আরও অনেক সহজ ও কম ব্যয়বহুল পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে আপনার ব্যবসায়ের বিক্রি বাড়বে কয়েকগুণ, আয় হবে আগের থেকেও অনেক বেশি। প্রয়োজন শুধু সজাগ থাকা, প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া ও স্মার্ট পদ্ধতিতে ব্যবসা পরিচালনা করা। 

Leave a comment